ক্রাইম এডিশন। অনলাইন ডেস্ক।
প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন সম্প্রতি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (UIU) শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলন নিয়ে একটি প্রতিবাদী পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন—বর্তমান শাসনামলে ছাত্রসংগঠনগুলো বারবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য লজ্জার বিষয়।
তার ভাষায়, “হাসিনার আমলে ছাত্রলীগ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে ক্ষমতাসীন দলগুলোর ছাত্রসংগঠন এরকম করবে না।”
তিনি আরও বলেন, “UIU শিক্ষার্থীদের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে, আশা করি ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মতো ছাত্রসংগঠনগুলো অন্তত তাদের পাশে দাঁড়াবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে UIU শিক্ষার্থীদের পাশে আছি এবং আমার অবস্থান থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।”
এই পোস্টে ইলিয়াস হোসাইন তার নৈতিক অবস্থান তুলে ধরেছেন এবং দেশ ও প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রবাসে থেকেও তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের উপর গভীর নজর রাখছেন—এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও সাহসী অবস্থান নিচ্ছেন। তিনি মনে করেন, একজন সচেতন সাংবাদিক হিসেবে শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, ন্যায়ের পাশে দাঁড়ানোও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
তার পোস্টে উঠে এসেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন—ছাত্ররাজনীতি কেন বারবার প্রশাসনের মুখপাত্রে পরিণত হয়? কেন তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিকে চাপা দিতে চায়? প্রশ্ন তুলেছেন, ছাত্রলীগের মতো শক্তিশালী একটি সংগঠন কেন UIU শিক্ষার্থীদের দাবির বিপরীতে চুপ থেকেছে?
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে ভবিষ্যতের ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—তারা যেন শুধুমাত্র দলীয় আনুগত্য নয়, বরং শিক্ষার্থীদের অধিকার ও ন্যায়ের পক্ষে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে।
ইলিয়াস হোসাইন আরও বলেন, “আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে মত প্রকাশ করতে পারবে। যেখানে কোনো ছাত্রসংগঠন তাদের কণ্ঠরোধে প্রশাসনের হাতিয়ার হবে না। বরং ছাত্রসংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার জন্য এগিয়ে আসবে, যেটা হওয়া উচিত তাদের মূল দায়িত্ব।”
প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের এই পোস্ট ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, দেশে থাকুক বা বিদেশে, একজন সত্যিকারের সাংবাদিক সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন।
অবশেষে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “একদিন এই দেশে এমন পরিবেশ হবে, যেখানে ছাত্ররাজনীতি মানে হবে মানবাধিকার রক্ষা, শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর রক্ষা—not রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সেবাদাস হওয়া।”
এই বক্তব্য আজকের তরুণদের মধ্যে এক ধরনের নতুন উপলব্ধি তৈরি করছে—যেখানে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়াই হবে একজন নাগরিক ও সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব।
Leave a Reply