ক্রাইম এডিশন। অনলাইন ডেস্ক।
ঢাকার আশুলিয়া থানার দক্ষিণ গাজিরচট এলাকা থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ (উত্তর)। ২৯ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকবিরোধী এই বিশেষ অভিযানে নেতৃত্ব দেয় ডিবি (উত্তর) এর একটি চৌকস দল, যেটি পরিচালিত হয় ঢাকা জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামান, পিপিএম এর নির্দেশনায়।
আটক হওয়া তিনজন মাদক ব্যবসায়ী হলেন—
১। মোঃ রিপন মিয়া (২৫), পিতাঃ আনোয়ার হোসেন আনু, মাতাঃ মৃত রেভা বেগম, গ্রামঃ দক্ষিণ বাইপাইল, চাড়ালপাড়া, থানা আশুলিয়া, জেলা ঢাকা।
২। মোঃ ইমন (২০), পিতাঃ মোঃ সাদেক, মাতাঃ মোছাঃ জেসমিন আক্তার, গ্রামঃ দক্ষিণ বাইপাইল, চাড়ালপাড়া, থানা আশুলিয়া, জেলা ঢাকা।
৩। মেহেদী হাসান (২১), পিতাঃ হযরত আলী, মাতাঃ মোছাঃ কমলা বেগম, গ্রামঃ দক্ষিণ বাইপাইল, চাড়ালপাড়া, থানা আশুলিয়া, জেলা ঢাকা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি (উত্তর) দলটি দক্ষিণ গাজিরচট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। তাদের শরীর ও ব্যাগ তল্লাশি করে পুলিশ সদস্যরা মোট ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে, যা তারা অবৈধভাবে মাদক কেনাবেচার জন্য বহন করছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
মাদক বিরোধী অভিযান দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও, ডিবি পুলিশের তৎপরতা দিনদিন আরও কার্যকর হয়ে উঠছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই ধরপাকড়ও ছিল একটি সফল পদক্ষেপ, যা এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি এনেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন রয়েছে। ইয়াবা একটি উচ্চমাত্রার নিষিদ্ধ মাদক যা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ধ্বংস করে দেয়। এটি মূলত তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। এই মাদক ব্যবসার পেছনে একটি বড় চক্র কাজ করে থাকলেও, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে অনেক সময় এমন চক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাও ধরা পড়ছে।
আটককৃত তিনজনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা জেলার পুলিশ প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। মাদক নির্মূল করতে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্র হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। একইসাথে অভিভাবকদেরও সচেতন থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন তাদের সন্তানেরা কোনোভাবে মাদকের প্রভাবে না জড়িয়ে পড়ে।
এ ধরনের সাফল্যমণ্ডিত অভিযান দেশের অন্যান্য থানা এলাকাতেও চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন জনগণের সহায়তায় মাদক নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।
মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনি কঠোরতা নিশ্চিত করা হলে দেশ থেকে একদিন এই ভয়ঙ্কর মরণনেশা পুরোপুরি নির্মূল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।