1. info@crimeedition.com : Crime Edition : Crime Edition
  2. masud399340@gmail.com : ক্রাইম এডিশন : ক্রাইম এডিশন
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
হাদির ওপর গুলিবর্ষণ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে ঘিরে আলোচনা ঢাকায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির অবস্থা সংকটজনক, চিকিৎসক জানালেন ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার, অবশেষে চিকিৎসক সাজিদের মৃত্যু ঘোষণা রাজশাহীর তানোরে নলকূপের গর্তে পড়ে শিশুর ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন বুধবার নরসিংদী পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় দিনমজুর বাবার সংগ্রাম জয়ে দুই মেয়ের বিসিএস সাফল্যের গল্প গঙ্গাচড়ায় উন্নয়ন সহযোগিতায় একযোগে কাজের আহ্বান জেলা প্রশাসকের ধামরাইয়ে মুজিবের মূর্তি পাহারায় আনসার নিয়োগে প্রশ্ন উঠেছে মিরপুর চিড়িয়াখানার খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে পড়া সিংহ নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়

গাজীপুরে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য সতর্কবার্তা: চিকিৎসা জালিয়াতি নিয়ে অভিযোগ

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৮৮৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রাইম এডিশন। ডেস্ক রিপোর্ট।

গাজীপুরে বসবাসরত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রতি বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী, যিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের অনৈতিক ও ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতির শিকার হয়েছেন। এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে “SQR/স্কয়ার হাসপাতাল”, যা পপুলার হাসপাতালের পাশের একটি গলিতে অবস্থিত।

ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, তিনি অনলাইনের মাধ্যমে পরিচিত একজনের পরামর্শে এই হাসপাতালে যান। তাঁর গর্ভকাল ছিল মাত্র ৫ সপ্তাহ, যখন আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ভ্রূণের উপস্থিতি নিশ্চিত না হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা তা বিবেচনায় না এনে তাকে প্রায় ৫০০০ টাকার বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে নেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল TVS (Transvaginal Sonography) টেস্ট – যার ফি ছিল ২২০০ টাকা।

সাধারণত TVS টেস্ট ব্যবহার করা হয় জরায়ুর জটিল রোগ, টিউমার বা ক্যান্সার শনাক্তের ক্ষেত্রে। তবে এত অল্প সময়ের গর্ভাবস্থায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

টেস্ট করানোর পরের দিন রাতেই ভুক্তভোগী তীব্র ব্যথা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভোগেন। পরদিন আবারও হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করালে জানানো হয় যে গর্ভপাত (miscarriage) হয়ে গেছে এবং অবিলম্বে D&C (Dilatation and Curettage) করানো প্রয়োজন। এ সময় তাকে নানা ধরনের ‘সুবিধা’ দেওয়ার কথাও জানানো হয়।

তবে সন্দেহ হওয়ায় তিনি নিজ জেলায় ফিরে যান এবং অভিজ্ঞ দুইজন অধ্যাপক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন। তাদের মত অনুযায়ী, ভ্রূণ নষ্ট হলেও তা প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে, D&C এর প্রয়োজন নেই এবং কোনও ওষুধও প্রযোজ্য নয়।

এই তথ্য আরও নিশ্চিত করতে তিনি বারডেম-২ হাসপাতালে অধ্যাপক রুনা লায়লার শরণাপন্ন হন। সেখানেও একই মত পেয়ে তিনি আশ্বস্ত হন এবং জানতে পারেন যে মূল ক্ষতি হয় TVS টেস্ট করার পর থেকেই। বিশেষজ্ঞের মতে, পাঁচ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় TVS করা সাধারণ চিকিৎসা প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না এবং এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

এই ঘটনার আলোকে চিকিৎসা খাতের নৈতিকতা, পেশাদারিত্ব এবং অর্থলিপ্সার প্রশ্ন উঠে আসে। ভ্রান্ত চিকিৎসা পদ্ধতি একজন নারীর জীবনের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

গাজীপুরের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা যেন চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হন, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা না করান—এটাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ নির্ণয়ে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা, ভুল চিকিৎসা বা রোগীর দুর্বলতা ব্যবহার করে অর্থ আদায় করা একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিচ্ছে। রোগী ও স্বজনদের উচিত, প্রাথমিক অবস্থায় সরকারি হাসপাতাল অথবা প্রামাণ্য কোনো স্বাস্থ্যসেবাদান প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত নেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© ২০২৫, ক্রাইম এডিশন, সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই সাইটের সমস্ত লেখা, ছবি ও কনটেন্ট কপিরাইট আইনের আওতায়। অনুমতি ছাড়া কপি, ব্যবহার বা পুনঃপ্রকাশ নিষিদ্ধ। স্বত্বাধিকার দাবি থাকলে অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। যথাযথ যাচাই-বাছাই ও প্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট অপসারণ করা হবে।

Theme Customized BY LatestNews