নুরন্নবী হাসান হিমু। ডেস্ক রিপোর্ট।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ দুইজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে মোট ৫ (পাঁচ) কেজি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা, যা অত্যন্ত চতুরভাবে একটি অটোভ্যানের আসনের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
১৭ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে লালমনিরহাট জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল এই সফল অভিযান পরিচালনা করে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কালীগঞ্জ থানাধীন গোড়ল ইউনিয়নের ০৪ নম্বর ওয়ার্ডের মালগাড়া মৌজায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনার সময় পুলিশ একটি বসতবাড়ির বাহিরের বারান্দায় সন্দেহভাজন অবস্থায় অবস্থানকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি মৃত খোদা বক্সের ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে 'রফিকুল মেম্বার' নামে পরিচিত।
জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে, তার জামাতা মোঃ রুবেল মিয়া (২৩)-এর মালিকানাধীন একটি হলুদ রঙের অটোভ্যানে মাদকদ্রব্য লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ ভ্যানটি তল্লাশি করে দেখতে পায় যে, যাত্রী বসার সিটের নিচে কাঠের তক্তায় খোদাই করে অত্যন্ত কৌশলে গাঁজা ফিটিং করা রয়েছে। উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমাণ ছিল মোট ৫ কেজি।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ভ্যানের মালিক রুবেল মিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক এবং ধৃত রফিকুল ইসলামের জামাতা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক পরিবহনের কথা স্বীকার করে এবং জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা পারিবারিকভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
এই সফল অভিযানটি মাদকবিরোধী অভিযানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বরাবরের মতো এবারও প্রমাণ করেছে যে, তারা সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে আন্তরিক এবং কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ধরনের অপরাধ দমন ও সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে হলে সবাইকে সচেতন ও সহযোগিতাপরায়ণ হতে হবে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে হলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের এই কার্যক্রমকে সফল করতে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। যদি কেউ মাদক সংক্রান্ত কোনো তথ্য জেনে থাকেন, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানান। পুলিশের প্রতি আস্থা রাখুন, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সকলে একযোগে কাজ করি।