সোহেল রানা মাসুদ, অনলাইন ডেস্ক
যশোরের বেনাপোল সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হেরোইনসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পোর্ট থানা পুলিশ। থানা পুলিশের চৌকস তৎপরতা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে ২০০ পুড়িয়া হেরোইনসহ উক্ত নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে ৩ আগস্ট ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে, বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেরবেড় গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব মোঃ রাসেল মিয়া। তাঁর দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) মোঃ রাশেদুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যে, ভবেরবেড় (পশ্চিমপাড়া) এলাকার এক নারীর হেফাজতে মাদকদ্রব্য মজুত রয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ মোছাঃ রেহেনা বেগম (৬৫) নামের এক নারীকে তার নিজ বসতবাড়ির উঠান থেকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে মোট ২০০ পুড়িয়া হেরোইন উদ্ধার করা হয়, যার মোট ওজন আনুমানিক ২০ গ্রাম।
উদ্ধারকৃত হেরোইন কাগজে মোড়ানো অবস্থায় ছিল এবং তা স্থানীয়ভাবে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যেই মজুত করা হয়েছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। এই বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আটককৃত আসামিকে ৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া আসামির নাম মোছাঃ রেহেনা বেগম, বয়স ৬৫ বছর। তিনি মৃত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। তার স্থায়ী ঠিকানা যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেরবেড় (রেললাইনপাড়া) গ্রামে।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাসেল মিয়া বলেন, "মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক প্রবেশ ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে হলে পুলিশের পাশাপাশি জনসচেতনতারও বিকল্প নেই।"
অভিযানে অংশগ্রহণকারী পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাদক কারবারিদের নানামুখী কৌশল পর্যবেক্ষণ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হচ্ছে। হেরোইনের মতো মারাত্মক মাদকের বিস্তার ঠেকাতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন মহল পুলিশের এই কার্যকর অভিযানের প্রশংসা করেছেন এবং তারা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ আরও জোরদার হবে।
দেশে মাদকবিরোধী অভিযান সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এমন অভিযান নিয়মিত চলবে বলেও জানা গেছে। যুবসমাজকে রক্ষা করতে এবং সামাজিক অবক্ষয় ঠেকাতে মাদকের বিরুদ্ধে সকল স্তরের মানুষের সম্মিলিত সচেতনতামূলক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।