নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদী
নরসিংদীতে ছিনতাইয়ের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে জেলা পুলিশের টহলদল তিনজন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে। শনিবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় পুলিশ ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত আরও দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করে।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে শিবপুর মডেল থানার আওতাধীন হাজীবাগান এলাকার অনন্ত নিটওয়্যার ফ্যাক্টরির সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঘটনাটি ঘটে। ভিকটিমকে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা একটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। তবে জেলা পুলিশের নিয়মিত রাত্রীকালীন টহলদল তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে। এসময় তিনজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল ছাড়াও তাদের নিজস্ব আরও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, যা তারা ছিনতাই কাজে ব্যবহার করত। আটক ব্যক্তিদের পরিচয় প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা হলেও তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা হয়নি। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয়দের আতঙ্ক থেকে স্বস্তি
ঘটনার পর এলাকাবাসী পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এ অংশে মাঝে মধ্যেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকে, যা স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। তবে পুলিশের এ ধরনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ভবিষ্যতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সবাই।
পুলিশের তৎপরতা ও প্রতিক্রিয়া
জেলা পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, অপরাধীরা যেভাবেই চেষ্টা করুক না কেন, তারা আইনের চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত। নরসিংদী জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রাত্রীকালীন টহল আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে এ ধরনের অপরাধ আর না ঘটে।
আইনগত ব্যবস্থা
গ্রেফতার হওয়া তিনজন ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে একটি চক্রের সন্ধান মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এরা সংগঠিত ছিনতাই দলের অংশ।
সমাপনী মন্তব্য
নরসিংদী জেলায় এ ধরনের অভিযান শুধু অপরাধীদের জন্যই নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও একটি শক্ত বার্তা বহন করছে। পুলিশের তৎপরতায় একদিকে যেমন ভুক্তভোগী তার ছিনতাইকৃত সম্পদ ফিরে পেয়েছেন, তেমনি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও বেড়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান চালিয়ে গেলে মহাসড়কসহ পুরো জেলার অপরাধপ্রবণ এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।