ক্রাইম এডিশন, ডেস্ক রিপোর্ট: ০৪ অক্টোবর, ২০২৫
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে অবস্থিত ফুড ক্লাব এন্ড পার্টি সেন্টার এখন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিতি অর্জন করেছে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে একটি সাধারণ রেস্তোরাঁ হিসেবে খোলা হলেও বর্তমানে এটি সামাজিক ও নৈতিক দিক থেকে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
ফুড ক্লাবটি তুষভান্ডার মহিলা কলেজের সংলগ্ন মেইন রোডের ধারে অবস্থিত। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের অফিস থেকে মাত্র আনুমানিক ৫০০–৬০০ গজ দূরে, প্রেসক্লাব থেকেও একই পরিসরে এবং কালীগঞ্জ পুলিশ স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। এই অবস্থানটি সংবেদনশীল, কারণ এটি শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনগণ এবং প্রশাসনের নিকটবর্তী।
প্রতিষ্ঠানটির প্রথম মালিক ছিলেন হাতীবান্ধা এলাকার একজন ব্যক্তি। পরে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি হয়ে হাতীবান্ধার শফিকুল ইসলামের কাছে যায়। স্থানীয়দের মতে, প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কার্যক্রম জনস্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং প্রশাসনিক নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে।
স্থানীয় জনতা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ফুড ক্লাবের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এটি সামাজিক ও নৈতিক দিক থেকে উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। বিশেষত এমন একটি ছোট গ্রামে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম মেনে নেওয়ার মতো নয়। স্থানীয়রা মনে করেন, প্রশাসনের পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি ছাড়া এই কার্যক্রম দীর্ঘদিন চলতে পারে।
ফুড ক্লাবের অবস্থান শিক্ষার্থীদের জন্যও উদ্বেগজনক। তুষভান্ডার মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা পাশেই অবস্থান করছেন এবং তাদের নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তি বজায় রাখা জরুরি। রেস্তোরাঁটি বর্তমানে সামাজিক ও আইনগত দিক থেকে বিতর্কিত। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাদের নজরে কিছু অনৈতিক কর্মকাণ্ড এসেছে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে একটি পতিতালয়ের মতো করে তুলেছে।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, ফুড ক্লাবের বর্তমান মালিকের বাড়ী হাতীবান্ধায় অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি কেনার পর এটি কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তা সাধারণ জনগণের কাছে খুব কম জানা। তাই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই তথ্যগুলো সত্যতা যাচাই-বাছাই এবং প্রয়োজনীয় তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে।
ফুড ক্লাব সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীরা সতর্ক হতে পারবে। এছাড়াও এটি সমাজে নৈতিক মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত একটি ছোট গ্রামে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা প্রতিরোধের জন্য সকলের সচেতনতা অপরিহার্য।