ফজলে রাব্বী হৃদয়, রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুর জেলার কালেক্টর মাঠে শুক্রবার একটি বড় রাজনৈতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশব্যাপী জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলমান আছে। এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করে মোট আটটি রাজনৈতিক দল। তারা দাবি করেছেন, জুলাই মাসে ঘোষিত জাতীয় সনদ কার্যকর করা হোক এবং নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত সংগ্রহ করা হোক।
অবস্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সমাবেশে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি জানান, বর্তমান সময়ে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। তারা বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচন করা নয়, বরং জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে যাতে দেশের সংবিধান ও ন্যায়বিচার সুরক্ষিত থাকে।
এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া আটটি দল হলো: জামায়াতে ইসলামি, বাংলাদেশ খেলাফাত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, এবং জাতীয় গনতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। তারা একত্রিত হয়ে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য একটি সুসংগঠিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা ফেরানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এই আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের আহ্বানকে গুরুত্ব দেবে এবং সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়াও, তারা পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোট নিশ্চিত করা হলে দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কমবে এবং নাগরিকদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
সমাবেশে অংশ নেওয়া নেতারা একমত হয়ে বলেন, এই আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং তা কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও, তারা জনগণকে এ আন্দোলনে অংশ নিতে আহ্বান জানান।
শেষ পর্যন্ত, এই সমাবেশে উপস্থিত নেতা ও কর্মীরা একটি স্মারকলিপি প্রস্তুত করে তা জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় এই ৫ দফা বাস্তবায়ন অতি জরুরি। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি যথাযথভাবে বিবেচনা করবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের সমন্বিত আন্দোলন দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তবে, আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি তুলে ধরা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।