ক্রাইম এডিশন। অনলাইন ডেস্ক।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলদের (টিআরসি) ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৬ জুলাই ২০২৫, সকাল ১০টায় পুলিশ লাইন্স চত্বরে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সূচনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার জনাব খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা।
এ সময় জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ, প্রশিক্ষকবৃন্দ এবং প্রশিক্ষণার্থী কনস্টেবলরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, “নবাগত টিআরসি সদস্যরা পুলিশের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি। তাদের শৃঙ্খলা, পেশাগত দক্ষতা ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে একজন দায়িত্বশীল পুলিশ সদস্যে পরিণত হতে হবে।”
ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের এই পর্বে অংশগ্রহণকারীদেরকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে— সেবাপ্রত্যাশীদের প্রতি আচরণ কৌশল, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পদ্ধতি, কায়িক প্রশিক্ষণ, অস্ত্রচালনা, আইন ও বিধি-বিধানের বাস্তব প্রয়োগ, মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা এবং জনগণের প্রতি জনসেবামূলক মনোভাব তৈরি।
প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুলিশ সুপার আরও বলেন, “একজন পুলিশ সদস্যের আসল পরিচয় তার আচরণ, দায়িত্ববোধ ও সেবার মানে প্রতিফলিত হয়। মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য পেশাদারিত্বের পাশাপাশি মানবিকতা ও আন্তরিকতা অপরিহার্য।” তিনি নবীনদেরকে সততা, দায়িত্বশীলতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিস) জনাব তাজরিনা সুলতানা, যিনি তার বক্তব্যে বলেন, “এই প্রশিক্ষণ শুধু শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নয়, বরং মানসিকভাবে শক্তিশালী, মানবিক ও দায়িত্ববান পুলিশ গড়ার দিকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বে অংশগ্রহণকারী কনস্টেবলরা পুলিশ সুপারের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন এবং ভবিষ্যতে দেশের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তারা জানান, প্রশিক্ষণ শেষে একজন পরিপূর্ণ পুলিশ সদস্য হিসেবে নিজেদেরকে তৈরি করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এই ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে টিআরসি সদস্যদের বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযুক্ত করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করাও এই প্রশিক্ষণের একটি প্রধান লক্ষ্য।
এমন কার্যক্রম দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ, দায়িত্বশীল ও সচেতন পুলিশ সদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য এই প্রশিক্ষণ যে মাইলফলক হয়ে থাকবে, তা স্পষ্ট।
Leave a Reply