1. info@crimeedition.com : Crime Edition : Crime Edition
  2. masud399340@gmail.com : ক্রাইম এডিশন : ক্রাইম এডিশন
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হাইওয়ে থানা অভিযানে ৬ কেজি গাঁজাসহ কুমিল্লার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার বরিশালে জামায়াতের আন্দোলনে ‘জুলাই সনদ’ দ্রুত আইনি স্বীকৃতির জোর দাবি আগামী নির্বাচনে জামায়াত সরকার গঠন করবে: শাহজাহান চৌধুরীর দাবি লালমনিরহাটে অটোরিকশা খাদে পড়ে দুই যাত্রীর মৃত্যু জামালপুরে ২২ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই কারবারি গ্রেফতার ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হালুয়াঘাটে তরুণীর মরদেহে নৃশংসতা, ক্ষোভে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে ট্রাক চাপায় স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হাতীবান্ধায় টাইফয়েড টিকা নেওয়ার পর ১১ শিক্ষার্থী অসুস্থ গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মহাসড়ক দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখলো স্থানীয় জনতা

গাজীপুরে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য সতর্কবার্তা: চিকিৎসা জালিয়াতি নিয়ে অভিযোগ

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৯৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রাইম এডিশন। ডেস্ক রিপোর্ট।

গাজীপুরে বসবাসরত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রতি বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী, যিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের অনৈতিক ও ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতির শিকার হয়েছেন। এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে “SQR/স্কয়ার হাসপাতাল”, যা পপুলার হাসপাতালের পাশের একটি গলিতে অবস্থিত।

ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, তিনি অনলাইনের মাধ্যমে পরিচিত একজনের পরামর্শে এই হাসপাতালে যান। তাঁর গর্ভকাল ছিল মাত্র ৫ সপ্তাহ, যখন আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ভ্রূণের উপস্থিতি নিশ্চিত না হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা তা বিবেচনায় না এনে তাকে প্রায় ৫০০০ টাকার বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে নেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল TVS (Transvaginal Sonography) টেস্ট – যার ফি ছিল ২২০০ টাকা।

সাধারণত TVS টেস্ট ব্যবহার করা হয় জরায়ুর জটিল রোগ, টিউমার বা ক্যান্সার শনাক্তের ক্ষেত্রে। তবে এত অল্প সময়ের গর্ভাবস্থায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

টেস্ট করানোর পরের দিন রাতেই ভুক্তভোগী তীব্র ব্যথা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভোগেন। পরদিন আবারও হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করালে জানানো হয় যে গর্ভপাত (miscarriage) হয়ে গেছে এবং অবিলম্বে D&C (Dilatation and Curettage) করানো প্রয়োজন। এ সময় তাকে নানা ধরনের ‘সুবিধা’ দেওয়ার কথাও জানানো হয়।

তবে সন্দেহ হওয়ায় তিনি নিজ জেলায় ফিরে যান এবং অভিজ্ঞ দুইজন অধ্যাপক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন। তাদের মত অনুযায়ী, ভ্রূণ নষ্ট হলেও তা প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে, D&C এর প্রয়োজন নেই এবং কোনও ওষুধও প্রযোজ্য নয়।

এই তথ্য আরও নিশ্চিত করতে তিনি বারডেম-২ হাসপাতালে অধ্যাপক রুনা লায়লার শরণাপন্ন হন। সেখানেও একই মত পেয়ে তিনি আশ্বস্ত হন এবং জানতে পারেন যে মূল ক্ষতি হয় TVS টেস্ট করার পর থেকেই। বিশেষজ্ঞের মতে, পাঁচ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় TVS করা সাধারণ চিকিৎসা প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না এবং এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

এই ঘটনার আলোকে চিকিৎসা খাতের নৈতিকতা, পেশাদারিত্ব এবং অর্থলিপ্সার প্রশ্ন উঠে আসে। ভ্রান্ত চিকিৎসা পদ্ধতি একজন নারীর জীবনের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

গাজীপুরের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা যেন চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হন, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা না করান—এটাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ নির্ণয়ে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা, ভুল চিকিৎসা বা রোগীর দুর্বলতা ব্যবহার করে অর্থ আদায় করা একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিচ্ছে। রোগী ও স্বজনদের উচিত, প্রাথমিক অবস্থায় সরকারি হাসপাতাল অথবা প্রামাণ্য কোনো স্বাস্থ্যসেবাদান প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত নেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© ২০২৫, ক্রাইম এডিশন, সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Theme Customized BY LatestNews