ক্রাইম এডিশন, ডেস্ক রিপোর্ট
ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি দক্ষিণ) ২৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিনজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশের অভিভাবক ও সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আনিসুজ্জামান পিপিএম এর নির্দেশে, ডিবি দক্ষিণ-এর অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে এই সফল অভিযান পরিচালিত হয়।
২০২৫ সালের ২৪ জুলাই, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আলুকান্দা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথম অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আল মামুন (৩২), পিতা- মৃত আল আমিন, সাং- আলুকান্দা স্ট্যান্ড বাজার, থানা- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা- ঢাকা, কে ১১০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।
পরবর্তী পৃথক অভিযানে, ২৫ জুলাই, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অন্তর্গত পূর্ব চড়াইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও দুইজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন হলেন মোঃ স্বপন কাজী (২৮), পিতা- মৃত লালু কাজী, স্থায়ী ঠিকানা- চরআর কমলী, থানা- দক্ষিণ আইচা, জেলা- ভোলা; বর্তমানে তিনি গোলাম বাজার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বসবাস করছেন। তার কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
অপর অভিযুক্ত ব্যক্তি মোঃ শফিক হাওলাদার (২৫), পিতা- মোঃ আবুল হোসেন, স্থায়ী ঠিকানা- চম্পাপুর, থানা- বাউফল, জেলা- পটুয়াখালী; বর্তমানে বসবাস করেন হাবিবনগর, থানা- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা- ঢাকা। তার নিকট হতে ৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনজন গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রুজু হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মোঃ আল মামুন এর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারায় মামলা নং-৫১, তারিখ ২৪/০৭/২০২৫ দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে, মোঃ স্বপন কাজী ও মোঃ শফিক হাওলাদার এর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একই আইনের আওতায় মামলা নং-৫৩, তারিখ ২৫/০৭/২০২৫ রুজু করা হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মাদকবিরোধী এই ধরনের অভিযানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভূমিকা প্রসংশনীয়। সমাজ থেকে মাদক নির্মূল ও যুবসমাজকে রক্ষা করতে ডিবি পুলিশের কার্যক্রম দেশব্যাপী ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পুলিশের কঠোর নজরদারি এবং ধারাবাহিক অভিযানই প্রমাণ করে যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক কারবারিদের কোন রকম ছাড় দিতে রাজি নয়।
অভিভাবকহীন যুব সমাজকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে এই অবৈধ মাদকের ছোবল। এমন পরিস্থিতিতে গোয়েন্দা পুলিশের দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপে মাদক চক্রের কর্মকাণ্ড কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে। তবে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা ও সহযোগিতা ছাড়া এই সমস্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব নয়।
মাদকের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করলে, একটি নিরাপদ, সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন সম্ভব। ডিবি পুলিশের এই ধরনের অভিযানের মাধ্যমে মাদক কারবারিদের বার্তা দেওয়া হয়েছে—বাংলাদেশে মাদকের কোন ঠাঁই নেই।
Leave a Reply