
আব্দুস সোবহান মোল্লা, গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর সদর উপজেলার হারিকেন এলাকায় এক পথচারীর সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয় জনতা। পূ্র্থক্ষণ ও উদ্ধারকাজের পরও প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় এলাকায় চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পথচারীটি মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকের নিচে পড়ে যায়, এরপর তার দুই পা থেঁতলে গিয়ে উগ্র জনতা সেখানে অবস্থান নেয় এবং যেকোনো যানবাহনকে রক্ষার জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে দেয় না। সাধারণ চালক, যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা যেন বিপাকে পড়েন—এরকম ভিড়ে মহাসড়কে যান চলাচল পুরোপুরি অনুপলব্ধ হয়ে পড়ে।
আরও পড়েছে যে, অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বোর্ডবাজার থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়, অন্যদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকা থেকেও ভোগড়া বাইপাস এবং মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানবাহন আটকে পড়েছে। এই অবস্থায় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পর্যন্ত অবরোধ চলছিলো।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ-র গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, “সড়ক দুর্ঘটনার জেরে স্থানীয় জনতা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এখনও আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছি।”
চারদিকের বিশ্লেষণ
ঘটনার পরপরই জনতার প্রতিক্রিয়া: অভিযোগ অনুযায়ী, ট্রাকের নিচে পড়ে যাওয়ার পর স্থান-জনতার সহায়তায় আহত ব্যক্তি উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর জনতার ক্ষোভ প্রকাশ পায় মহাসড়ক অবরোধের মাধ্যমে।
যান-যট ও সাধারণ দুর্ভোগ: অবরোধের কারণে মহাসড়কে কোন গাড়ি চলাচল করতে পারছিল না, এতে যাত্রী ও পরিবহনের উন্নয়ন রুটে বিরল পাল্লায় অত্যাধিকার পায়।
শাসন ও আইন-বাবস্থা: পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও অবরোধ দ্রুত খুলতে ব্যর্থ হয়। একাধিক যানবাহন দীর্ঘ সময় আটকে পড়ার পর বিপর্যস্ত হয়।
দুর্নীতি ও সড়ক নিরাপত্তা প্রসঙ্গ: এই ধরনের দুর্ঘটনা ও তার পরে জনতার প্রতিক্রিয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা প্রশ্নকে সত্যিই নতুনভাবে তুলে ধরেছে। কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলতা ও যানবাহনের নিয়ন্ত্রণে অবহেলা-উভয়ই আলোচনায় আসে।
তাৎক্ষণিক প্রভাব ও পরবর্তী নির্দেশিকা
পর্যটন ও বাণিজ্য রুট: মহাসড়কটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোর এক, তাই দীর্ঘ সময় অবরোধে পড়ে দেশীয় বাণিজ্য ও যাতায়াত প্রকটভাবে ব্যাহত হয়।
দূরপাল্লার প্রভাব: একবার কোন মহাসড়ক বন্ধ হলেই দুই/তিন ঘন্টার মধ্যে সেটি পুরো এলাকায় ‘টেইলব্যাক’ সৃষ্টি করে ফেলে—এটি আগেও নজরে এসেছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ: প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত রেসপন্স নিশ্চিত করতে হবে—দুর্ঘটনার ঝুঁকিজনিত রেকর্ড, ট্রাক/লরি চালক নিয়ন্ত্রণ এবং জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
সচেতনতামূলক কার্যক্রম: সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে—সড়ক পারাপার করার সময় এবং নিয়ন্ত্রিত জায়গায় যানবাহন চালানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করার।