ক্রাইম এডিশন ডেস্ক। গাইবান্ধা।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশে আবারও সাফল্যের নতুন পালক যুক্ত হয়েছে। অদ্য ২৫ জুন ২০২৫, বুধবার গাইবান্ধা জেলা পুলিশ লাইন্সে এক আনন্দঘন পরিবেশে পদোন্নতিপ্রাপ্ত দুই পুলিশ সদস্যকে র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব নিশাত এ্যাঞ্জেলা।
জানা যায়, কনস্টেবল পদ থেকে সহকারী টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (এটিএসআই) পদে এক জন এবং এটিএসআই থেকে টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (টিএসআই) পদে আরও এক জন মোট দুইজন পুলিশ সদস্য সাম্প্রতিক সময়েই পদোন্নতি লাভ করেন। পদোন্নতির স্বীকৃতিস্বরূপ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের র্যাংক ব্যাজ পরানো হয়।
পদোন্নতির এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার জনাব নিশাত এ্যাঞ্জেলা। তিনি সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত সদস্যদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং নিজ হাতে র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন, “এই পদোন্নতি শুধু একজন ব্যক্তির অর্জন নয়, এটি একটি স্বীকৃতি—তার নিষ্ঠা, পেশাগত দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার। আমাদের প্রত্যাশা, আপনারা নতুন দায়িত্বে আরও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবেন, সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখবেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেক সদস্যকে পেশাদারিত্বের মান বজায় রেখে জনসেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে সেবার মান আরও উন্নত করতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পুলিশের পেশাদার ভূমিকা অপরিহার্য।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম, যিনি তার বক্তব্যে বলেন, “এই পদোন্নতিগুলো আমাদের মনোবল বাড়ায়। এতে অনুপ্রাণিত হয় অন্য সদস্যরাও, যারা কঠোর পরিশ্রম ও দায়িত্বশীলতা দিয়ে বাহিনীতে অবদান রেখে চলেছেন।”
অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তারা পদোন্নতিপ্রাপ্ত দুই সদস্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সফলতা কামনা করেন।
এ ধরনের সম্মাননা ও স্বীকৃতি অনুষ্ঠান পুলিশের সুশৃঙ্খল ও পেশাদার কাঠামোকে শক্তিশালী করে তোলে। এতে সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব পালনের আগ্রহ ও উৎসাহ বেড়ে যায় বলে মনে করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পদোন্নতি পাওয়া সদস্যদের একজন বলেন, “আমার আজকের এই প্রাপ্তি পুলিশ বাহিনীতে দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফল। আমি এই সম্মানকে দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করছি এবং আগামীতেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।”
পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য যেন নিজ নিজ দায়িত্বে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখে—এই প্রত্যাশাই করেন গাইবান্ধার পুলিশ প্রশাসন।
এই ধরনের উদ্যোগ শুধু বাহিনীর ভিতরেই নয়, সাধারণ জনগণের মাঝেও পুলিশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে। বিশেষ করে যখন পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও নিষ্ঠার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তখন তা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
সর্বোপরি, পদোন্নতির এই আনন্দঘন মুহূর্ত জেলা পুলিশের পেশাদারিত্বকে আরও একধাপ এগিয়ে দিল। পুলিশের এই অর্জন ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় গাইবান্ধা জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও সুসংহত হবে বলেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।
Leave a Reply