সোহেল রানা মাসুদ, অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জের প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) জনাব মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন-এর লালমনিরহাট জেলায় আগমন উপলক্ষে আজ একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় লালমনিরহাট জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ), রংপুর রেঞ্জ, জনাব মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। সভার সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম।
এই মতবিনিময় সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল পুলিশ সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা প্রদান ও পুলিশ-জনসম্পৃক্ততা আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে আলোচনা করা। সভার শুরুতেই পুলিশ সুপার জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডিশনাল ডিআইজি জনাব মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, “পুলিশ সদস্যদের অবশ্যই চেইন-অফ-কমান্ড মেনে চলতে হবে। এতে বাহিনীর ভেতরে শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং দায়িত্ব পালনে সমন্বয় তৈরি হয়।” তিনি আরও বলেন, “জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পুলিশ হতে হবে জনগণের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যারা বিপদে-আপদে পাশে থাকবে।”
তিনি পুলিশের মধ্যে মনোবল, শৃঙ্খলা, আন্তঃসম্পর্ক এবং জনসেবামূলক মনোভাবের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, “পুলিশ সদস্যদের মানবিক আচরণ ও পেশাদারিত্ব একটি নিরাপদ সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃ শাহাদত হোসেন সুমা, বিপিএম (বার) এবং সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) জনাব জয়ন্ত কুমার সেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, তদন্ত কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, পুলিশ লাইন্সের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। পুলিশ সদস্যরা কিভাবে নিজেদের কাজ আরও দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেন এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এই মতবিনিময় সভা জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধকে আরও জোরালো করার লক্ষ্যে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে প্রশংসিত হয়।
সভা শেষে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধান অতিথি এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান।
এ ধরনের সভা নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে পুলিশের পেশাগত দক্ষতা ও নৈতিক মূল্যবোধ আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।
Leave a Reply