1. info@crimeedition.com : Crime Edition : Crime Edition
  2. masud399340@gmail.com : ক্রাইম এডিশন : ক্রাইম এডিশন
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
শিরোনাম :
শার্শায় পুলিশের অভিযানে ১২ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার এক কেরানীগঞ্জে অস্ত্রসহ দুই যুবক আটক, পুলিশি অভিযান সফল ঢাকায় পৃথক অভিযানে ১০০ ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক নারায়ণগঞ্জে অগ্নি নির্বাপন ও প্রাথমিক চিকিৎসা মহড়ায় শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ উত্তর বাংলা কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সবুজ পৃথিবীর অঙ্গীকার শেরপুর সদর থানা বার্ষিক পরিদর্শনে এএসপি মিজানুর ভূঁঞা ঢাকায় ডিবি (উত্তর) গ্রেফতার করেন ২০ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী শিয়াল খোওয়া চাকলা হলমোর সড়কে অচেতন ব্যক্তিকে উদ্ধার ঢাকার নিউমার্কেটে জুতার শোরুমে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তিস্তা নদীতে ডুবে ছাত্র মুহিতের লাশ উদ্ধার

লালমনিরহাটে মাদক মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রাইম এডিশন, লালমনিরহাট

 

লালমনিরহাটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। একই সঙ্গে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে অতিরিক্ত সশ্রম কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আসামি মেঃ খায়রুজ্জামান ওরফে খয়ের জামাল (৪০), পিতা মৃত তছলিম উদ্দীন, গ্রাম চন্দ্রপুর, থানাঃ কালীগঞ্জ, জেলা লালমনিরহাট—তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে মামলা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার বিচার চলাকালীন সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ উপস্থাপন করে দেখাতে সক্ষম হয় যে আসামি মাদক ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।

গত ২৯ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে মামলার রায় ঘোষণার সময় বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই খায়রুজ্জামান পলাতক ছিলেন। অবশেষে অদ্য ১২ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হন। আদালত সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদকদ্রব্য রাখাসহ একাধিক অভিযোগ ছিল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গোপনে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। মাদকদ্রব্যের বিস্তার রোধে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে এবং পরবর্তীতে মামলা দায়ের করা হয়।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর অবস্থান বাস্তবায়নে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। কোনো অপরাধীই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এবং মাদক অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মাদক একটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা যা তরুণ সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। আদালতের এই রায় সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেবে যে, মাদক ব্যবসায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি অনিবার্য।

অপরদিকে স্থানীয় সচেতন মহল ও সামাজিক সংগঠনগুলো মাদকবিরোধী এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করেন, সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হলে শুধু পুলিশ ও আদালতের প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়, বরং প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্বশীল হতে হবে। মাদককে না বলা, সন্দেহজনক কার্যকলাপের তথ্য পুলিশকে জানানো এবং পরিবার-সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, মাদক ব্যবসায়ী ও চক্রগুলো অনেক সময় প্রভাব খাটিয়ে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে আসতে চায়। তবে সুষ্ঠু তদন্ত ও আদালতের কঠোর অবস্থানের কারণে এই ধরনের অপরাধীরা ক্রমেই চিহ্নিত হচ্ছে এবং শাস্তি পাচ্ছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এতে অপরাধীরা শুধু কারাদণ্ডই নয়, আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ভবিষ্যতে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যেতে তাদের নিরুৎসাহিত করে।

এই রায়ের মাধ্যমে একটি বার্তা স্পষ্ট হয়েছে—মাদক অপরাধের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি কার্যকর রয়েছে, এবং যারা এই অপরাধে লিপ্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।

সামাজিক বার্তা:

মাদককে না বলুন।

পরিবার ও সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।

পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন