1. info@crimeedition.com : Crime Edition : Crime Edition
  2. masud399340@gmail.com : ক্রাইম এডিশন : ক্রাইম এডিশন
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
শিরোনাম :
শার্শায় পুলিশের অভিযানে ১২ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার এক কেরানীগঞ্জে অস্ত্রসহ দুই যুবক আটক, পুলিশি অভিযান সফল ঢাকায় পৃথক অভিযানে ১০০ ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক নারায়ণগঞ্জে অগ্নি নির্বাপন ও প্রাথমিক চিকিৎসা মহড়ায় শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ উত্তর বাংলা কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সবুজ পৃথিবীর অঙ্গীকার শেরপুর সদর থানা বার্ষিক পরিদর্শনে এএসপি মিজানুর ভূঁঞা ঢাকায় ডিবি (উত্তর) গ্রেফতার করেন ২০ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী শিয়াল খোওয়া চাকলা হলমোর সড়কে অচেতন ব্যক্তিকে উদ্ধার ঢাকার নিউমার্কেটে জুতার শোরুমে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তিস্তা নদীতে ডুবে ছাত্র মুহিতের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে শিশুহ-ত্যার রহস্য উন্মোচন, দুই আসামী গ্রেপ্তার

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রাইম এডিশন, ডেস্ক রিপোর্ট

 

সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলায় ঘটে যাওয়া একটি হৃদয়বিদারক শিশুহত্যার ঘটনার রহস্য মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২৩ আগস্ট ২০২৫ ইং এ ঘটনায় জড়িত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

 

ভিকটিম ও ঘটনার বিবরণ

 

ভিকটিম শিশু সোয়া খাতুন ওরফে সূচনা (৬) সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার মীরের দেউলমুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা মোঃ সুমন হোসেন দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে কুয়েতে প্রবাসী জীবনে রয়েছেন। শিশুটি মীরের দেউলমুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

 

২০ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে পরিবার হঠাৎই শিশুটিকে খুঁজে পাচ্ছিল না। শুরু হয় চারপাশে খোঁজাখুঁজি, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতেও খোঁজা হয়। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি।

 

অবশেষে একই দিন দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ছুটে যান পাশের একটি বাড়িতে। সেখানে দেখা যায়, জনৈক মোঃ সানোয়ার হোসেন (৪৫), পিতা মৃত শাহজাহান আলীর পরিত্যক্ত টয়লেটের ভেতরে শিশুটির লাশ পড়ে আছে। তার মাথা ও কপালে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, দুষ্কৃতিকারীরা নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ওই টয়লেটে ফেলে রেখেছিল।

 

এই ঘটনায় নিহত শিশুটির দাদা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ

 

ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ ফারুক হোসেন মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিরাজগঞ্জ সার্কেল ও অতিরিক্ত দায়িত্বে রায়গঞ্জ সার্কেল) জনাব মোঃ নাজরান রউফ এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব একরামুল হোসাইন, পিপিএম নেতৃত্ব দেন।

 

এছাড়াও ডিবির এসআই (নিঃ) মোঃ নাজমুল হক, বিপিএম এবং এসআই (নিঃ) অনুপ কুমার সরকারসহ একটি চৌকস টিম মাঠে নামেন। তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিরলস তদন্তের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হন।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামী

 

পুলিশ তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন—

১. মোঃ মনিরুল ইসলাম জিহাদ (২১)

২. মোছাঃ আতিয়া পারভীন (২৭)

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের মধ্যে মনিরুল ইসলাম জিহাদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে এবং হত্যার ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।

 

রায়গঞ্জ উপজেলার প্রেক্ষাপট

 

রায়গঞ্জ উপজেলা সিরাজগঞ্জ জেলার দক্ষিণাংশে অবস্থিত একটি জনবহুল উপজেলা। এখানে কৃষি, ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং প্রবাসী আয়ের ওপর অনেকাংশে অর্থনীতি নির্ভরশীল। মীরের দেউলমুড়া গ্রামটি উপজেলার হাট পাঙ্গাসী ডাকঘরের অন্তর্ভুক্ত, যেখানে স্থানীয় জনগণ মূলত কৃষিকাজের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে জড়িত।

 

শান্তিপূর্ণ গ্রামীণ পরিবেশের মাঝেই ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ড এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

 

পুলিশের বক্তব্য ও এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া

 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত ছিল। তবে প্রযুক্তি, গোয়েন্দা দক্ষতা ও টিমওয়ার্কের কারণে খুব দ্রুত আসামীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার সম্ভব হয়েছে।

 

এদিকে এলাকাবাসী বলেন, পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। শিশু হত্যার মতো নৃশংস ঘটনার বিচার দ্রুত সম্পন্ন হবে—এমন প্রত্যাশা আমাদের সবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন