
ক্রাইম এডিশন, ডেস্ক রিপোর্ট:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলমান তিন দফা দাবি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য শিক্ষককে হঠাৎ ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) বদলির বিষয়টি ‘প্রশাসনিক কারণ’ হিসেবে জানালেও, আন্দোলনকারী শিক্ষকরা এটিকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের অফিস আদেশে বদলির নির্দেশনা জারি করা হয়। তালিকায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষকদের নামও রয়েছে। একাধিক জেলার শিক্ষকরা জানান, শুধুমাত্র নোয়াখালী জেলাতেই প্রায় ৪০ জন শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। একইভাবে দেশের অন্যান্য জেলাতেও ব্যাপক বদলি কার্যক্রম চলছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাধারণত নিজ জেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত থাকেন এবং এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি কম হয়। তবে শাস্তিমূলক বা বিশেষ প্রশাসনিক অবস্থায় ভিন্ন জেলায় বদলি করার রেওয়াজ থাকলেও তা খুব কম দেখা যায়। অফিস আদেশে সাধারণত বদলির কারণ হিসেবে ‘প্রশাসনিক কারণে’ উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রশাসনিক কারণ বিবেচনায় শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালানো হয়েছে। তবে, কতজনকে বদলি করা হয়েছে, সেই বিষয়টি এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
অন্যদিকে, আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, তারা সরকারের আশ্বাস উপেক্ষা করে তাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে এই হঠাৎ বদলি কর্মসূচি শিক্ষক সমাজে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী ও ব্যাপক করার সম্ভাবনা রাখে।
শিক্ষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এই বদলি ঘটনা দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রের বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকরা সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের দাবি বাস্তবায়ন চাইলেও, এই ধরনের পদক্ষেপ তাদের আন্দোলনকে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।