ক্রাইম এডিশন ডেস্ক। ২২ মে ২০২৫
ঈদুল আজহা সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। বাংলাদেশ রেলওয়ে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল যে, ৭ জুনকে কেন্দ্র করে ঈদযাত্রার জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম ধাপে ধাপে পরিচালনা করা হবে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ৮টা থেকে ১ জুনের ট্রেন টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এবারের ঈদে যাত্রীদের বাড়তি ভোগান্তি এড়াতে পুরো টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া ডিজিটাল করা হয়েছে। অর্থাৎ, যাত্রীরা এবার ঘরে বসেই রেলওয়ের নির্ধারিত অনলাইন পোর্টাল বা অ্যাপে প্রবেশ করে টিকিট কাটতে পারবেন। নতুন বা পুরনো যাত্রী—সকলের ক্ষেত্রেই একবার রেজিস্ট্রেশন যথেষ্ট, এরপর শুধু লগইন করেই কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা সম্ভব।
উত্তরাঞ্চলগামী টিকিটে চাহিদা বেশি
সকালের দিকেই দেখা গেছে, রেলওয়ের ওয়েবসাইটে ব্যাপক ভিড়। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনের টিকিটের জন্য প্রচণ্ড চাহিদা তৈরি হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই অনেক রুটের টিকিট শেষ হয়ে যায়। তবে এখনও কিছু ট্রেনের নির্দিষ্ট শ্রেণির টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রির সময় বিভাজন
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনগুলোর টিকিট বিক্রি। এরপর দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে পূর্বাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রির কার্যক্রম। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলের যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে ও সার্ভার চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই সময়ভেদে বিক্রি চালু রাখা হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে চলবে স্পেশাল ট্রেন
ঈদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় রেলওয়ে এবার ১০টি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ট্রেনগুলো ঈদের আগের কয়েকদিন—৪ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত এবং ঈদের পরের সময় ৯ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। এই ট্রেনগুলোর টিকিট শুধুমাত্র স্টেশন কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করা যাবে, অনলাইনে নয়।
ঈদের দিনেও চলবে ট্রেন
ঈদের দিন অর্থাৎ ৭ জুনেও কিছু নির্দিষ্ট ট্রেন চলাচল করবে বলে জানানো হয়েছে। রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঈদ উপলক্ষে সারা দেশে ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেন চলবে, যাতে প্রায় ৩৩ হাজার ৩১৫টি আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট সরবরাহ করা হবে, যা শুধু স্টেশন কাউন্টার থেকেই সংগ্রহযোগ্য।
যাত্রা সহজ করতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
রেলওয়ের ডিজিটাল টিকিটিং ব্যবস্থার ফলে যাত্রীরা এখন বাসা থেকেই টিকিট কাটতে পারছেন। সিস্টেমে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে স্বয়ংক্রিয় তথ্য যাচাই, কনফার্মেশন এসএমএস, এবং ই-মেইলে টিকিট কপি পাঠানোর সুবিধা। মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট—উভয় মাধ্যমেই টিকিট সংগ্রহ করা যাচ্ছে।
সম্ভাব্য ভোগান্তি এড়াতে যাত্রীদের পরামর্শ
অনলাইন টিকিট কাটার সময় যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য যাত্রীদের নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে থেকেই প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রেশন ও পেমেন্ট সম্পর্কিত সমস্যার ক্ষেত্রে নির্ধারিত হেল্পলাইনে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।