ক্রাইম এডিশন। ডেস্ক রিপোর্ট।
ঢাকা জেলার দোহার থানা পুলিশ ডাকাতির পরিকল্পনা নস্যাৎ করে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কুসুমহাটি ইউনিয়নের শিলাকোঠা এলাকায়, যেখানে গভীর রাতে ডাকাতি সংঘটনের পূর্বমুহূর্তে অভিযানে নামে পুলিশ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ঢাকার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আনিসুজ্জামান পিপিএম এর নির্দেশনায় দোহার থানার অন্তর্গত চর মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি চৌকস টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে অংশ নেয়। ২২ জুলাই রাতে, প্রায় ৩টা ৪০ মিনিটের সময়, পুলিশ ও স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে চালানো ওই অভিযানে একটি নির্জন স্থানে জড়ো হওয়া ডাকাত দলটি চিহ্নিত হয় এবং ঘটনাস্থল থেকেই ছয়জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন:
১. দাউদ আহম্মেদ পাভেল (৪৯),
২. মোঃ জসিম (৪৩),
৩. মোঃ শাওন বেপারী (২৫),
৪. আল-আমিন শেখ (২০),
৫. শেখ নয়ন (২০),
৬. শেখ মিরাজ হোসেন (২৫)।
এরা প্রত্যেকেই দোহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক দেশীয় ধারালো অস্ত্র—একটি চাপাতি, একটি ছোড়া ও দুটি চাকু।
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তিরা স্বীকার করে যে, তারা ১১/১২ জনের একটি বড় দল হিসেবে ওই নির্জন স্থানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে একত্র হয়েছিল। তাদের সহযোগী বাকিদের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত না হলেও, পুলিশ ইতোমধ্যে তাদের সনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান জোরদার করেছে।
পুলিশ ঘটনার প্রেক্ষিতে দোহার থানায় একটি মামলা (নং-২১, তারিখ ২২/০৭/২০২৫) দায়ের করেছে, যার আওতায় বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৯৯ ও ৪০২ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতেই এমন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আনিসুজ্জামান পিপিএম বলেন, “জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। ডাকাতি, ছিনতাইসহ যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে।”
এই সফল অভিযানের মাধ্যমে একদিকে যেমন অপরাধ প্রবণতা রোধে প্রশাসনের সক্রিয়তা প্রমাণিত হয়েছে, তেমনি সাধারণ মানুষের সহযোগিতার মাধ্যমে কীভাবে অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব—তাও আবারও স্পষ্ট হয়েছে। তাই অপরাধ দমন করতে জনতার সহযোগিতা প্রয়োজন।
Leave a Reply