ক্রাইম এডিশন, ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর ১২ নম্বর এলাকায় ০৩ আগস্ট ২০২৫ ইং রবিবার রাত ৯ টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে চালানো এই অভিযানে একটি অবৈধ পিস্তল এবং এর সাথে থাকা একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালিত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। মিরপুর ১২-এর একটি নির্দিষ্ট স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নেয় এবং অভিযান চালিয়ে তল্লাশির একপর্যায়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একটি নিরাপত্তা সূত্র জানায়, “উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি একটি বিদেশি পিস্তল। এর সঙ্গে একটি ম্যাগাজিনও ছিল, যার মধ্যে গুলি ছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।”
ঘটনার পর থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থল সংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে কাজ করছে। কারা এই অবৈধ অস্ত্র রাখছিল বা তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল—তা জানতে তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের উদ্দেশ্যেই এই অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এই যৌথ অভিযানটি ছিল অত্যন্ত গোপনীয় এবং পরিকল্পিত। এতে সেনা সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের সদস্যরাও অংশ নেন। নিরাপত্তা হুমকি প্রতিরোধ এবং সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এ ধরনের অভিযান এখন নিয়মিত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে অপরাধ দমনে সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
এদিকে, এই অভিযানের পর স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ জানান, সম্প্রতি এলাকায় অপরাধ প্রবণতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিল। এ ধরনের অভিযান তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। তবে অভিযানে আটক হওয়া কারও বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
নিরাপত্তা বাহিনী অনুরোধ করেছে, যদি কেউ কোনো ধরণের সন্দেহজনক ব্যক্তি বা কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত থাকেন, তাহলে যেন দেরি না করে নিকটস্থ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সেনা ক্যাম্পে তা জানান। জনস্বার্থে এ ধরনের তথ্য প্রদান অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত ও বিশ্লেষণ অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতির প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এই অভিযানের মাধ্যমে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি সংস্থাগুলোর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সচেতন নাগরিকেরা।
Leave a Reply