ক্রাইম এডিশন, ডেস্ক রিপোর্ট
আজ ৫ আগস্ট ২০২৫, ঐতিহাসিক “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস”-এর স্মরণে রংপুরে পালিত হয়েছে গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে “জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫”-এর একটি বিশেষ কার্যক্রম। এ উপলক্ষে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের বিপরীতে অবস্থিত ৩৬ জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
সকালের শুরু থেকেই স্মৃতিস্তম্ভ এলাকা জনসমাগমে মুখর হয়ে ওঠে। সর্বস্তরের মানুষ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিস্তম্ভে আসেন। এতে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়কে স্মরণ করে জাতির প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার প্রমাণ রাখেন।
🔰 রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান জনাব মোঃ মজিদ আলী, বিপিএম, পুলিশ কমিশনার, আরপিএমপি, রংপুর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব নরেশ চাকমা, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) জনাব মোঃ তোফায়েল আহমেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মোঃ আব্দুর রশিদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব মোঃ রুহুল আমিন এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) জনাব মোঃ মারুফ আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
🔷 এ ছাড়াও যারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন:
জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম, এনডিসি, বিভাগীয় কমিশনার ও প্রশাসক, সিটি কর্পোরেশন
জনাব আমিনুল ইসলাম, ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ
জনাব মোঃ রবিউল ফয়সাল, জেলা প্রশাসক, রংপুর
জনাব মোঃ আবু সাইম, পুলিশ সুপার, রংপুর
পিবিআই, সিআইডি, হাইওয়ে পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার
বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ
স্থানীয় পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ
এবং সর্বস্তরের প্রায় হাজারো সাধারণ নাগরিক
🌸 সকলে মিলে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন শহীদদের উদ্দেশে, যাঁদের আত্মত্যাগে এই জাতি বারবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে।
এই অনুষ্ঠান শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি একটি ঐতিহাসিক চেতনা বহন করে। মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম ও ত্যাগের ইতিহাসকে স্মরণ করেই এ দিবস পালিত হয় প্রতিবছর। এ ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করতে এবং ন্যায়, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ রক্ষা করতে উদ্বুদ্ধ করে।
🇧🇩 অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব হলো এই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়কে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া। শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। সবাইকে সৎ, ন্যায়বান ও গণতান্ত্রিক চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় অবদান রাখতে হবে।”
রংপুরবাসীর অংশগ্রহণ ও আন্তরিকতা প্রমাণ করেছে—গৌরবময় অতীতকে স্মরণে রেখে আমরা একসঙ্গে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে পারি।
Leave a Reply