
ক্রাইম এডিশন, ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সম্মানিত আমীর ডা. শফিকুর রহমান আজ (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় পবিত্র মক্কায় ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ফেসবুক সূত্রে জানা গেছে, আমীরে জামায়াতের এই সফর ধর্মীয় ভক্তি, আত্মিক শুদ্ধি ও বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের প্রতিফলন বহন করছে।
বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আমীরে জামায়াতের মঙ্গল, সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ সফরের জন্য দোয়া করেন।
ডা. শফিকুর রহমান পবিত্র ওমরাহ্ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করবেন। সফরে দ্বিতীয় পর্বে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তাঁর এই বিদেশ সফর দলীয় সম্পর্ক মজবুত করা ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান আরও দৃঢ় করার একটি উদ্দেশ্য বহন করে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ওমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে। ডা. শফিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে দলীয় এবং সামাজিক ক্ষেত্রে সক্রিয় একজন নেতা। তিনি দলের সদস্যদের আত্মিক উন্নয়ন ও নৈতিক শিক্ষার উপর বিশেষ জোর দিয়ে আসছেন। তাঁর ওমরা পালনকে অনেকেই ব্যক্তিগত ইবাদত এবং একই সঙ্গে দলীয় মনোবল বৃদ্ধির প্রেরণা হিসেবে দেখছেন।
তাঁর বিদায়ের সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত দলীয় নেতারা বলেছেন, আমীরে জামায়াতের এই সফর দেশের জন্য কল্যাণ ও আশীর্বাদ বয়ে আনবে। তাঁরা বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, তিনি ওমরা পালন শেষে জাতির জন্য কল্যাণ ও ন্যায়ের বার্তা নিয়ে ফিরবেন।
ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফর কেবল ইবাদতের জন্য নয়, বরং বিদেশে বাংলাদেশি মুসলিম সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ মজবুত করার একটি সুযোগ। বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে জামায়াতে ইসলামী’র সমর্থক ও সহযোগীদের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে বলে ধারণা।
তিনি আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় ফিরে আসবেন বলে জানা গেছে। দেশে ফিরে তিনি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ইস্যুতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ওমরা পালনের মাধ্যমে ডা. শফিকুর রহমানের এই আত্মিক ভ্রমণ তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যোগ করেছে। তাঁর এই সফর বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতির একটি নতুন অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসলামী চেতনা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি একটি ইতিবাচক উদাহরণ বলে অনেকে মনে করছেন।
শেষ পর্যায়ে, তাঁর ওমরা ও বিদেশ সফর নিরাপদ ও সফল হোক এই প্রার্থনা করেছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।